বর্তমান সময়ে করনা মহামারীর প্রভাবে অনেকেরই মাঝে ফ্রিল্যান্সিং করার প্রবনতা দেখা যাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কারও কাজ করে দেওয়া এর বিনিময় টাকা উপার্জন করা। সহজে বোঝানোর জন্য বলা যায় আপনার একটা ওয়েবসাইড দরকার কিন্তু আপনি এই কাজ করতে পারেন না এখন ইন্টারনেটে কোনো ওয়েব ডেভলপার কে দিয়ে আপনি এই কাজটি করিয়ে নিতে পারেন। এখনে যে আপনার কাজটি করে দিলো সে একজন ফ্রিল্যান্সার। বর্তমানে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নিজের ভবিষ্যৎ গঠন করে নিচ্ছেন।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কোন ধরনের কাজ পাওয়া যায়?
অনেকেরই মাথায় এই প্রশ্ন আসতে পারে। এর উত্তর হলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাজ হলোঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন, অর্টিকেল রাইটিং, ওয়েব ডেভলপমেন্ট, এসইও, ডিজিটাল মার্কেটিং, এপস ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি।
জনপ্রিয় কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বলতে অনেকেই ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার ডট কম, আপওয়ার্ক এর কথা মনে পড়ে। কিন্তু এগুলোর বাইরেও কিছু মার্কেটপ্লেস আছে। তবে এসব মার্কেটপ্লেসের জনপ্রিয়তা কিছুটা কম। আপনাকে যে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হবে ব্যাপারটা এমন নয় আপনি চাইলে কম জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসে আপনার শক্ত অবস্থান তৈরি করে প্রচুর কাজ পেতে পারেন।
এটি বহুল প্রচলিত ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এর চাহিদা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেক বেশি। যারা ফ্রিল্যান্সিং করে তাদের প্রায় সবারই ফাইভারে একটা একাউন্ট থাকে। নতুন অবস্থায় একজন ফ্রিল্যান্সার ফাইভারের মাধ্যমে কাজ শুরু করে। ক্লায়েন্টরা ও ফাইভারকে গুরুত্ব দেয়। এখানে সর্বনিম্ন ৫ ইউএস ডলার এর কাজ হয় সর্বোচ্চে ৪০০০ ইউএস ডলার ও ছাড়িয়ে যায় অনেক সময়।
আপওয়ার্কের পুরাতন নাম ওডেস্ক। এটি ১৯৯৮ সালে যাত্রা শুরু করে। অনেক ফ্রিল্যান্সার এর মতে আপওয়ার্ক একটি মানসম্মত এবং স্মার্ট মার্কেটপ্লেস। এই প্লাটফর্ম থেকে মাইক্রোসফট, ড্রপবক্স, গোডেডি এর মতো নামি দামি কম্পানির কাজ পেতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সার একটি অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠান। এটির যাত্রা শুরু হয়েছিলো ২০০৯ সালে। এখানে ৩২ মিলিয়ন এর বেশি রেজিষ্টার ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। এই মার্কেটপ্লেস ১১ টি ভাষায় বায়ার এবং ফ্রিল্যান্সারদের সুযোগ প্রদান করে। এই মার্কেটপ্লেসে প্রায় সব ধরনেরই কাজ হয়। তবে এই মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়া নতুনদের জন্য কিছুটা কঠিন।
এই প্লাটফর্মে সাধারণত ঘন্টা ভিত্তিক কাজ হয়ে থাকে। পিপল পার আওয়ার অনেক বাংলাদেশির কাছে পরিচিত মার্কেটপ্লেস। এখানে দেড় বিলিয়নের বেশি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে এবং এই প্লাটফরমে রেটিং সিস্টেম এর কারনে ফ্রিল্যান্সাররা দক্ষতা অনুসারে কাজ পায়।
বিল্যান্সার মূলত বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এই মার্কেটপ্লেসের যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালে এটা তৈরিতে বাংলাদেশের আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের অবদান ছিলো। বিল্যান্সার অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন